Keyar Jouno Jatona
কেয়ার যৌন যাতনা
২৩ শে ভাদ্র , বেশ গরম তার সাথে থমকে থমকে বৃষ্টির শেষ নেই ৷ হরিদেবপুর গ্রাম বৃষ্টি তে ভিজে আরো সবুজ দেখাচ্ছে ৷ রুপনারায়ান এর চর থেকে গ্রাম টা দেখলে যেন ঠিক সোনার বাংলার কথা মনে পড়ে ৷ এক হাথে লাঙ্গল নিয়ে মোহন চাচা ক্ষেতে যাচ্ছে ৷ রোজ এমন ভাবেই গ্রান্মের লোক কে হাতে বা বাজারে যেতে দেখা যায় ৷ কেয়া তার কোলের মেয়েকে নিয়ে দাওয়ায় বসে আছে ৷ গত চার বছর ধরে তাকে নাকি ভুতে বেয়েছে , দু বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর তার সংসার চলে না ৷ কোনো ভাবেই তার কোনো সুরাহা হয় না ৷
গ্রামে চেয়ে চিনতে খেয়ে লোকের ধার দেনা করে কেয়া তাই নিঃস্ব ৷ আর কেয়ার সম্বল তার স্বামীর ৫ বিঘে জমি ৷ স্বামীর ১২ বছরের ভাই সিতেশ কে ফাই ফরমাস করিয়ে লোকের বাড়ি কাজ করতে পাঠায় পঞ্চায়েতের রায়ে ভূত না ছাড়ালে কেয়া আর এই গায়ে থাকতে পারবে না ৷ কারণ গায়ের ক্ষতিও হতে পারে ৷ এর আগে গত বার চরকে কেয়া দাঁতে করে পিতলের বড় ঘড়া ভর্তি চাল নিয়ে ৩ মাইল রাস্তা দৌড়েছিল প্রায় বিবস্ত্র হয়ে ৷ এ কাজ মানুষের সাধ্য নয় তাই গায়ের অসম্মান হবে ভেবে পঞ্চায়েত এই রায় দিয়েছে ৷ মতিন ওঝা পঞ্চায়েত কে বলে দিয়েছে অমাবস্যায় কেয়া কে রাত বারোটায় ভূত ছাড়াতে ঘন্টা তিনেকের পূজার আয়োজন তার সাথে ১ কিলো গাওয়া ঘি আর ১ মন চাল আর ১০০ টাকা দান দান দখ্যিনা হিসেবে দিতে হবে ৷ তবেই নাকি ভূত ছাড়ানো সম্ভব ৷ মশানে কালির শ্মশানের মৃতদেহের হাড়, শকুনির খুলি , আর হয়নায় লেগের লোম থেকে তাবিজ বানাতে হয় ৷ সে অনেক ঝক্কি ৷ কেয়া জানে না সত্যি তাকে ভুতে ধরেছে কিনা ৷ তবে তার মাঝে মাঝেই শরীরে অনেক শক্তি আসে ৷ আর জ্ঞান হারিয়ে যায় তার ৷ তার ক্ষমতাও নেই শহরে গিয়ে বড় ডাক্তার দেখাবে ৷ তার অল্প বয়েস ৷ গ্রামের কিছু লোক কুকুরের মত তার শরীরের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ পাকা আমের মত গায়ের রং ৷ তার ভাসুর রাখাল তাদেরই একজন ৷ কেয়ার ভাসুর পঞ্চায়েত কে উস্কানি দিয়ে তার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করেছে ৷ আশ্বিনে তাকে গ্রাম ছেড়ে দিতে হবে আর নাহলে মতিন ওঝার কথা মত সব জিনিস নিয়ে পূজা করে ভূত ঝারাতে হবে ৷ কেয়ার মামা অন্য গায়ের এক মনিবের দোকানে কাজ করে ৷ অনেক অনুরোধের পর মামা তাকে ধার দিতে রাজি হয়েছে ৷ মা বাপ নেই আর কেয়ার আরেক ভাই শহরে জন খাটে ৷ তার পরিবার কেই ক্ষেতে দেওয়ার সাধ্যি হয় না তার ৷ বোন কে ন মাসে ছমাসে এক বার দেখতে আসে ৷ সে আগেই বলেছে জমি বেচে পইসা নিয়ে শহরে কারখানায় কাজ করতে ৷ কিন্তু গায়ের কুকুর গুলো দেখে তাকে কিন্তু শহরের কুকুর তাকে ছিড়ে খাবে ৷ সেই ভয়ে সে শহরে যাবার সাহস করে না ৷ ঘাটে স্নান করতে গেলে গায়ের বদমাইশ লোকেরা ঘাটে ভিড় করে ৷ শরীরে লেপ্টে থাকা ভিজে শাড়ি দিয়ে শরীর মনের স্বাদে দেখে সুখ মেটায় ৷ একা ঘরে মাঝে মাঝে রাতেও লোকে মদ খেয়ে করা নাড়ে ৷ এসব গা সয়া হয়ে গেছে কেয়ার ৷ সে জানে তার সুধু ৫ বিঘে জমি আছে বেচে থাকার জন্য ৷ নাহলে গ্রামের মানুষ সুযোগ পেলেই তাকে তাদের বাসনার শিকার বানাবে ৷ একা বিধবার আমাদের দেশে এমনি অবস্তা হয় ৷ রাখালের জাঁদরেল বউ লতিকা হটাত ঘরের ভিতর থেকে গালাগালি দিয়ে ওঠে ৷ ” ওরে মাগী একটু একটু চোখ রাখতে পারিস না দেখ দেখ আমার কড়াই শাক খেয়ে গেল তোর বাছুর , মরণ ও হয় না মাগী তোর !” কেয়ার ঘরের থেকে খানিক দুরে কেয়ার স্বামীর ভিটে পেরোলেই রাখালের ঘর ৷ রাখাল আর কেয়ার বর দু ভাই হলেও জমিন আসমানের ফারাক দুই ভাইয়ের মধ্যে ৷ রাখাল বছর দশেকের বড় ৷ তার ছেলেরা এখন ১২-১৫ বছরের ৷ কেয়া দৌড়ে গিয়ে বাছুর ধরে নিজের গোয়ালে নিয়ে আসে ৷ ৫ বিঘে জমি ছাড়া তার এই বাছুর সমেত তিনটে গরু সম্বল ৷ গরুর দুধ বেচে যাও দু একটা পায় তাতে মেয়ের অসুধ পথ্যি তে চলে যায় ৷ কাল বিকেলেই মাধব মামা এসে তাকে ঘি চাল আর টাকা দিয়ে যাবে ৷ তাতে আর কিছু না হলেও গ্রামে থাকতে পারবে কেয়া ৷ সুধু মতিন ওঝা ভূত ছাড়াতে পারলে হলো ৷ “মারে ? আছিস নাকি , রোদের তেজ টা চড়া একটু আজ” ৷ গৌর মামা তার সাথের ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলে “আরে দেখছিস কি চালের বস্তা টা নামা , আর ঘিয়ের টিন ঘরের ভিতরে রাখ ৷” কেয়া প্রনাম করে ৷ “তুমি না থাকলে আমার যে কি হত মামা !” কেয়া কে একটু স্নেহ করে বলে ” এই টাকা টা রাখ ১২০ টাকা আছে !” “আজ আর বসা হবে না অনেক কাজ মনিবের ঘরে ৷ তুই সিতেশ কে দিয়ে খবর পাঠাস ৷ একটা পুরনো জরাজীর্ণ সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে আসে ৷” তাড়া তাড়ি গোটা দশেক নারকেল নাড়ু আর জল নিয়ে আসে কেয়া ৷ জল খেয়ে নাড়ু হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ৷ শান্তির নিশ্বাস ফেলে কেয়া ৷ মতিন ওঝার দেনা পাওনা মিটিয়ে শান্তিতে চাস বাস করাবে কেয়া ৷ তাতেও যদি দু মুঠো খেয়ে পরে বাচতে পারে তাতেই খুসি ৷ বেলা বাড়ছে ৷ এখনি সরকার মশাই কে ধরতে না পারলে সামনের অমাবস্যায় মতিন ওঝা কে খুঁজে পাওয়া যাবে না ৷ সিতেশ কে মেয়ে সামলাতে দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলে নিজে শাড়ি আর আচল ঠিক করে দুরে বেরিয়ে যায় পঞ্চায়েত এর দিকে ৷ সকালে পঞ্চায়েত এর আপিস খুলে গেলেও সরকার মশাই ১০:৩০ এর আগে আসেন না ৷ মন্ত্রী সান্ত্রী অনেক লোক এখানে ঘোরাঘুরি করে ৷ বেশি বেগ পেতে হলো না কেয়া কে ৷ সরকার মশাই কে দেখে কেয়া এগিয়ে গেল অফিস ঘরে ৷ ” সরকার মশাই আমি পূজার যোগাড় করছি , আপনি মতিন ওঝারে বলে দেন পূজার ব্যবস্থা করতে ৷ সামনের অমাবস্যাতেই আমি পূজা করে নেব !” সরকার মশাই শান্ত ভাবে কেয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন “আচ্ছা তুই বস আমি দেখছি ৷ ” ঘরে কাগজ পত্র নিয়ে আরেকজন অল্প বয়েসী গ্রামের ছেলে ৷ তাকে কিছু বলতেই সে ছুটে বেরিয়ে গেল ৷ সরকার মশাই অমায়িক লোক ৷ রাখালের দল বল যে কেয়ার দিকে ছোচার মত তাকিয়ে আছে তা সরকার মশাই জানেন ৷ কিন্তু রাখালের দল একটু ভারী ৷ ১০ জনের ভোটে ৬ জন কেয়ার ভুতের গল্পে বিশ্বাসী ৷ তাই তিনি কোনো ভাবেই কেয়া কে কোনো সাহায্য করতে পারেন নি ৷ কেয়া বসে বসে অস্থির হয়ে গেছে ৷ আধ ঘন্টা পর মতিন ওঝা এসে হাজির ৷ ” সরকার মশাই আমারে ডেকেছেন ?” ওহ হ্যান মতিন কেয়ার সব কিছুই তো আমরা জানি অনেক কষ্ট করে ওহ সব কিছু যোগাড় করেছে , দেখো যদি সামনের অমাবস্যায় অর পূজা পাঠের ব্যবস্থা করতে পারো কিনা ?” সরকার মশাই মতিন কে বলে আবার কাজে মন দিলেন ৷ মতিন ঝোলা থেকে পাঁজি বার করে বললেন ” সামনের অমাবস্যা আজ থেকে ৫ দিন পরে তাইলে আসছে সুক্কুর বার দিন ভালো আছে , কিরে কেয়া রাজি তো ?” কেয়া ঘাড় নাড়ে ৷ সরকার মশাই কেয়ার দিকে তাকিয়ে বলে ” পুজো হয়ে গেলে একবার আমার কাছে আসিস মা !” কেয়া মাথা নাড়ে ৷ সরকার মশাই সত্যি জানেন না ওঝা দিয়ে ভূত তাড়ানো যায় কিনা ৷ কিন্তু কেয়ার এমন সব ভয়ংকর ভয়ংকর কান্ড আছে যে গ্রামের লোক কেয়া কে একটু ভয় পায় বিশেষ করে রাতের বেলা ৷ অন্ধবিশ্বাস নিয়ের গ্রাম গুলো বছরের পর বছর শেওলার মত জড়িয়ে থাকে ৷ ” আজ্ঞে বলছিলাম কি কেয়া একলা মেয়েমানুষ আর পুজো কত্তি হয় রেতের বেলা ” বলে মতিন সরকার মশায়ের দিকে তাকে ৷ “ওহ ওহ তা ঠিক তা ঠিক , কিরে মা তর কি কাওকে দরকার আছে ?” কেয়া নিডর হয়ে বলে “না আমার কোনো ভয় নেই !” কেয়া বাড়ি চলে আসে ৷ এর পর কেয়ার দিকে আঙ্গুল তুলতে পারবে না কেউই ৷ মতিন ওঝার কথা দেওয়া আছে পঞ্চায়েতে ৷ মতিন ওঝা কেয়ার সঙ্গে এসে চাল ঘি আর ১০০ টাকা নিয়ে যায় কথা মত ৷ মামা কেয়াকে একটু বেশি গি আর চাল দিয়েছিলেন সেটা কেয়া বার করে অলাদে করে মতিন ওঝা কে বলে ” পুজো হয়ে গেলে পঞ্চায়েত কে বলতে হবে ভূত প্রেত কিছু নাই বুঝলা ?” মতিন ওঝা বলে ” সে তুই চনত করিসনে কেয়া আমি সব সামলে নেব !” লোভে চক চক করে ওঠে তার চোখ ৷ ৪ দিন কিভাবে কেটে গেছে বুঝতেই পারেনি কেয়া ৷ নদীর ওপার থেকে আব্দুল মিয়া এসেছিল কেয়ার জমি চাষ করবে বলে ৷ দর দাম হয় নি ৷ জমিটা তিন ফসলা ৷ তাই ধানের ব্যাপারে রফা করেই জমি তুলে দেবে আব্দুল মিয়ার হাথে ৷ আব্দুল মিয়া তার বাপের বয়েসী ৷ তার স্বামীর সাথে এর আগেও চাষ বাস করেছে ৷ আব্দুল চাচা কে কেয়া বিশ্বাস করে৷ রাখালের দল কেয়ার শরীর চায় না তার সাথে জমিও চায় ৷ সিতেশ কোথা থেকে ছুটে আসে বলে ” বৌদি বৌদি দেখো না জেঠিমা আমাদের সব সজনে গাছের ডাল মুড়িয়ে দিয়েছে ৷ ” গত বছর এই সজনে ডাটা বেচে ৯০০ টাকা পেয়েছিল কেয়া ৷ দল গুলো রাস্তার উপর একটু নুয়ে পড়েছিল বটে তাতে কেটে দেবার মত অবস্থা হয় নি ৷ কেয়ার ভারী বুকের আচলটা জড়িয়ে কোমরে পেচিয়ে কাস্তে হাতে বেরিয়ে আসে ৷ রাগে গা জ্বলতে সুরু করে কেয়ার ৷ ” আজ মাগির একদিন কি আমার একদিন ” বলে চেচিয়ে উঠোনে আসতেই কেয়া দেখে তার সাধের ৭, ৮ টা সজনে গাছের সব ডাল ছেঁটে ফেলেছে লতিকা ৷ এই নিয়ে তার অনেক ক্ষতিই করেছে ভাশুরঝি ৷ কাস্তে বাগিয়ে উঠে আসে রাখালের উঠোনে ৷ ওদের উঠোনেও সুন্দর বেগুনের গাছ বসিয়েছিল রাখান সব মিলিয়ে ২০-২৫ টা হবে ৷ কাস্তের কোপে সব মাটিতে সুইয়ে দিয়েও খান্ত হয় না কেয়া ৷ তার খাওয়ার নেই পড়ার নেই সে কারোর ক্ষতি করে না তবুও তার এমন সর্বনাশ কেন হবে ? আরো দু চারটে কোপে কচু পেপে ধরা ১০-১২ টা পেপে গাছ সুইয়ে দেয় মাটিতে ৷ লতিকা ” ও বাবাগো মেরেফেললো গো, দস্যি মেয়ে , ডাইনি আমার ঘর নষ্ট করে দিল গো ” বলে মাটিতেই বসে বুক চাপড়ে অভিনয় করতে শুরু করলো ৷ এ ঘটনা এই দুই পরিবারের নতুন নয় ৷ সাময়িক ভিড় জমলেও গ্রামের লোকেরা বোকা নয় ৷ রাখল কোথা থেকে দৌড়ে এসে ঘরের এমন অবস্থা দেখে দেয়ালে মাথা খুরে মাথা ফাটিয়ে পঞ্চায়েতের দিকে দৌড়ে গেল নালিশ করতে ৷ কেয়া জানে আবার নালিশ হবে সালিশী হবে , পঞ্চায়েত বসবে ৷ আজ এর বিহিত হওয়া দরকার ৷ সেও সিতেশের কলে মেয়েকে দিয়ে দৌড়ে যায় পঞ্চায়েতে হাতে কাস্তে ধরে রাখে ৷ যা ভাবে ঠিক তাই হয় ৷ মৈরুল, নেপাল, সরকার মশাই বাগেশ দত্ত দের সামনে কেঁদে দোহা দিতে সুরু করে রাখাল ৷ এসবে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে কেয়া সরকার মশায়ের দিকে চেয়ে বলে ” আমি কি দোষ করিছি ? আমি বিধবা স্বামীর ভিটেতে খাচ্ছি সেটাই আমার অপরাধ ? আমায় না বলে আমার জমির সজনে গাছ কেটে দেওয়ার কি মানে ?আজকে গাছের উপর কোপ দিছি, কাল তোর গলায় কোপ দোবো ইতর কোথাকার ৷ তার পর তোমরা আমায় ফাঁসি দাও আর জেলি দাও !” বলে কারোর তোয়াক্কা না করে বাড়ি ফিরে আসে ৷ সরকার মশায়ের দৌলতে রাখালের ডাল গলে না ৷ কিন্তু রাখালের আক্রোশের মাত্রা বাড়তে থাকে ৷ কেয়া সুন্দরী তাই তার রূপে গ্রামে অন্ধকার নেমে আসে ৷ সাথ দেওয়ার অনেক মদ্দ পায় কিন্তু সবাই মধুর চাক ভাঙ্গার আশায় আসে ভালবাসতে নয় ৷ কম বয়স বিয়ে করলেও পারে ৷ অজয় কেয়াকে মনে মনে ভালবাসে আর কেয়া জানলেও সে বিধবা ৷ তার ঘরের লোক তাকে মেনে নেবে কিনা ? তার উপর কেয়ার দু বছরের মেয়ে আর সিতেশ মাথার উপর ! কি যে করবে কেয়া ভেবে পায় না ! সন্ধ্যে বেলা ঘাটে গা ধুতে গিয়ে অজয় কে বরজ থেকে ফিরতে দেখে ৷ অজয় এক ছেলে তাদের বাড়ির ৷ মা বাবা এক সাথে গত হয়েছে বছর ৫ হলো৷ দুই বোনের বিয়ে দিয়ে বেশ গরিব হয়ে গেছে সে ৷ অজয় কেয়াকে দেখে বলে ” কালকে পূজা রেখেছ সুনলাম ?” কেয়া মুখ বেকিয়ে বলে ” না হলে গেরামের লোক থাকতে দেবে না যে !” অজয় উদাস হয়ে বলে ” তা আর কি করা যাবে ? পুজোতে কেউ যাবে না ? ” কেয়া হেঁসে ফেলে খিল খিল করে ” আ মরণ দশা পুজো দেখতে কে যাবে লা ? তুমি যাবে ? নাগর আমার !” অজয় মুখ নামিয়ে চলে যায় ৷
No comments:
Post a Comment